মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তারিখ চূড়ান্ত হওয়ায় মাঠে নেমে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি নিজের কবলে নিয়ে আসতে রাজধানী ঢাকায় লবিং-তদবীরসহ দলীয় প্রতীক পেতে মরিয়া সকলে। বিএনপি ও শরীক দল জামায়াতের কেউ এখনো নেই কোনো নির্বাচনী প্রচারে। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান করোনাক্রান্ত হয়ে ১৮ আগষ্ট মারা গেলে ঢাকামুখি তদবীর ও লবিং শুরু হয় স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের। তৎসময়ে প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে ওই পরিষদ চালাতে আসছেন এমন গুঞ্জনে নাম আসছিল সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী পত্নী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন ও জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান’র। পরবর্তীতে প্রশাসক হওয়ার গুঞ্জন বন্ধ হয়ে যায় ওই পরিষদ’র প্যানেল চেয়ারম্যান-১ তফাদার রিজওয়ানা ইয়াসমিন ৬ সেপ্টেম্বর অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলে। জেলা পরিষদ’র উপ-নির্বাচনের তারিখ আগামী ২০ অক্টোবর নির্ধারণ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।উপ-নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন, প্রবীণ আ’লীগ নেতা ও জাতীয় পরিষদ সদস্য মোঃ ফিরুজ, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সদস্য সৈয়দা সায়েরা মহসীন, যুক্তরাজ্য আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক বিট্রিশ কাউন্সিলর এমএ রহিম (সি আই পি), সাবেক পুলিশের এআইজি বজলুল করিম, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাইফুর রহমান বাবুল, জেলা যুবলীগ সভাপতি নাহিদ আহমদ, সাবেক এমপি ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এম শাহীন, কেন্দ্রিয় জাপা নেতা আহমেদ রিয়াজ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহাব উদ্দিন আহমদ ও সাংবাদিক বকসি ইকবাল আহমদ।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, আমাদের দলীয় ও জোটগত সিদ্ধান্ত এই সরকারের অধিনে বিএনপি উপ-নির্বাচনে যাবেনা। সিদ্ধান্ত না মেনে বিএনপির কোন নেতা যদি নির্বাচনে অংশ নেন তবে দলীয় সিদ্ধান্ত কেমন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মিজান বলেন, সেটা পরে দেখা যাবে। বালাদেশ জামায়াতে ইসলামী ওই উপ-নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে কিনা জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের এক নেতা জানান, ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাবেনা জামায়াত। পরবর্তীতে যদি নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসে সেটা ভিন্ন কথা।জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৭টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়ন মিলে ৯৪৩ জন নির্বাচকমন্ডলীর সদস্য (ভোটার) রয়েছেন। জেলা পরিষদ একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে গঠিত।

Sent from my iPhone

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here