Empty room with a black wall mockup

মাহতাবুর রহমান মাহতাব, আমেরিকাতে বসবাসকারী বাংলাদেশি সিআইপি এর বক্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে জানতে চাই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে কিভাবে তারা বিনিয়োগ করতে পারবে বলে আপনি মনে করেন

আসলে আপনারা হয়তো জানেন যে বাংলাদেশ এর প্রত্যেকটা সেক্টর উন্নতি হচ্ছে এবং বাইরে থেকে বিনিয়োগ আসছে। এর অন্যতম কারণ  বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য একটা সুযোগ তৈরী হয়ে গেছে ।  যদি আপনি এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে চায়না,  ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান  এবং হংকং  দেখেন  তাহলে দেখবেন এসব দেশগুলো  থেকে অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসতেছে।  

আগে এ সকল দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসতো না।  যদিও বর্তমানে করোনা মহামারীতে  বিনিয়োগ পরিস্থিতি কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে।  তারপরেও  বাংলাদেশে বিনিয়োগ বন্ধ হয় নাই।  বরং বাংলাদেশ  এ বিনিয়োগ আসতেছে এবং আমাদের Pandemic  এর সময় বাংলাদেশের  প্রবাসীদের  কাছ থেকে  প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে আসছে।  বর্তমান বাংলাদেশের  বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে ।  এর কারনে আপনারা হয়তো জানেন যে বাংলাদেশ বর্তমানে প্রবাসীদের জন্য  একটা নিরাপদ বিনিয়োগ  এর জায়গা তৈরি করে দিয়েছে।

অনেকে যারা  বিদেশে চাকরি করে এবং  অনেকদিন ধরে বসবাস করে।  বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে  এর দেশগুলোতে যারা বসবাস করে এবং তারা কিন্তু আবার ঐ সকল দেশের নাগরিকত্ব পায় না।  আবার বয়স সিক্সটি ফাইভ ৬৫ বছর হয়ে গেলে ঐ সকল দেশে তাদের  ভিসা নবায়ন হয় না ।  সে ক্ষেত্রে তারা সমস্যায় পড়েন। আপনারা অবগত আছেন যে বর্তমান সরকার প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য নানা রকম সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে ।  তারা চাইলে  সহজেই সেই সকল সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।

বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন  দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট আসতেছে । এখন আমাদের বাংলাদেশকে বিশ্ব বাজারে ব্রান্ডিং করার সময় এসেছে । আমাদের দেশের বিশেষ করে গার্মেন্টস এর বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী  নিয়ে পৃথিবীর বড় বড়  নামকরা BRAND   গুলো ব্যবসা করতেছে । সে ক্ষেত্রে আমার একটা প্রস্তাব ছিল । পাশাপাশি যদি আমাদের বাংলাদেশের কোন  স্থানীয় ব্রান্ডের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়।  তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য  এর পাশাপাশি  স্থানীয় ব্রান্ড বিশ্ব দরবারে সুপরিচিত লাভ করবে ।  এজন্য আমরা প্রবাসীরা সামগ্রিক সহযোগিতা করতে হবে।  তাহলে এটা সম্ভব।  আমাদের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এটাকে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরও দূরে নিয়ে যেতে হবে।  আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত  ভিশন 2021 এবং 2041 বাস্তবায়ন করার জন্য সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করছি ।

স্টিমুলাস বিশেষজ্ঞ মিয়া মোহাম্মদ আফজাল এর বক্তব্য
এবছর ট্যাক্স রিটার্ন  প্রক্রিয়া খুবই জটিল  হবে এর একমাত্র কারণ হচ্ছে করোনাভাইরাস। প্যানডেমিক  (Pandemic) এর কারণে Internal Revenue Service (IRS) এর অনেক কর্মী কাজে ফিরতে পারছে না অথবা তারা ছুটিতে আছেন অথবা অন্য কোন কারণে তারা কাজ করতেছেন না । সুতরাং  বুঝতেই পারছেন আপনি যদি ট্যাক্স রিটার্ন এর কার্যক্রম শুরু করতে চান তাহলে অনেক দেরি হবে।

এখন দেখা যাচ্ছে IRS কে কল দিতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগে যায় । আপনি যখন IRS এর সাথে যোগাযোগ করতে যাবেন তখন অনেক সময় লাগতে পারে।  অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে IRS  অফিসে তাদের প্রাকটিশনার নাই।  করোনাভাইরাস এর আগে যখন আমরা কল দিতাম তখন দেখা যাচ্ছে 2  থেকে 1 মিনিটের মধ্যেই লাইন পেয়ে যেতাম। কিন্তু এখন সেটার জন্য অনেক সময় লেগে যাচ্ছে বা লেগে যাবে। আমি গতকাল (January 9, Saturday) IRS এ কল দিয়েছিলাম । অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর একটি auto-reply মেসেজ পেলাম । সেখানে লেখা  ছিল আজকে আমরা কথা বলতে পারছিনা । আপনি আগামীকাল আবার ফোন করেন।  এই সকল কারণে এই প্রক্রিয়াটি অনেক ঝামেলা হবে এবং অনেক সময় লেগে যেতে পারে।

এবছর COVID-19  এর  কারণে অনেকেই Unemployment হয়ে গেছে এবং অনেকেই এই Unemployment হওয়ার পর কিভাবে ট্যাক্স রিটার্ন করতে হয় সেটা নিয়েও একটা চিন্তার মধ্যে আছে। তাছাড়া অনেকে আছে যারা  অন্যদের আইডেন্টিটি চুরি করে TAX ফাইল করে থাকে ।  সে ক্ষেত্রে   এসব সমাধান করতে হয় তাহলে অনেক সময় লেগে যাবে।   তার উপর আবার IRS  এর সাথে যোগাযোগের যে সীমাবদ্ধতা বা যোগাযোগের যে সমস্যাটা  তো রয়েছেই।

এটার সমাধান
সবথেকে ভালো হয় আপনি এর জন্য অনেক আগেই সঠিক তথ্য দিয়ে ট্যাক্স ফাইল করবেন । যদি আগে থেকে ফাইল করেন তাহলে কেউ আপনার আইডেন্টিটি চুরি করে TAX  ফাইল পারবে না এবং এই প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হবে।

আর যদি আপনি TAX ফাইলিং করতে দেরি করেন  । আর তার আগেই যদি  কেউ আপনার আইডেনটিটি চুরির করে ফাইল করে ফেলে । সেক্ষেত্রে আপনি আরো সমস্যার মুখোমুখি পড়বেন। উল্লেখ্য আপনি TAX  ফাইলিং এর সময় ডাইরেক ডিপোজিট  (Bank Account) অপশন টা দিবেন । আপনি যদি চেকের মাধ্যমে রিটার্ন দেন তাহলে এটা কিন্তু অনেক বেশি সময় লেগে যাবে।

এই বিষয়টা আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই  যে করদাতাদের অনেকে মনে করেন  Tax ফাইলিং এর সময় ব্যাংক একাউন্ট  দিলে IRS ব্যাংকের জমানো টাকা দেখে ফেলবে। একটা বিষয় মনে রাখবেন IRS কখনোই আপনার ব্যাংকের জমানো টাকা দেখতে পাবেনা বা দেখতে যাবে না ।  সুতরাং আমি অনুরোধ করব আপনারা অবশ্যই ডাইরেক ডিপোজিট দিবেন ।

আর একটা বিষয় অনেকেই COVID-19  Pandemic এর ১২০০ ডলার এবং৬০০ ডলার স্টিমুলাস প্যাকেজ এর অর্থ পাইনি । তারা যেন অবশ্যই ২০২০ ট্যাক্স রিটার্নের সময় এর সময় IRS কে জানায়।   তখন IRS এটাকে রিকভারি ক্রেডিট হিসেবে দিয়ে দিবে। পরিশেষে আমি বলব File early, file electronically and use direct diposit option । ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here